নিজস্ব প্রতিবেদক : শিল্পায়নের দিক থেকে নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে ফতুল্লা। বিসিক তো বটেই, এই অঞ্চলের মোড়ে মোড়েই যেন দেখা মিলে এমন শিল্পপল্লীর। তবে শিল্পায়নে সমৃদ্ধ হলেও এতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব ফুটে উঠেছে মোটা দাগে। অপরিকল্পিত ভাবে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠায় সময়ের সাথে যেন ঝুঁকে পড়েছে ঝুঁকির পাল্লাটাও! কেননা, প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ফায়ার সেফটি আইনের হিসেব ধরলে ফতুল্লার ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানই অগ্নি ঝুঁকিপূর্ন। বিসিক বা ফতুল্লার কোনো প্রতিষ্ঠানেই শতভাগ ফায়ার প্ল্যান বাস্তবায়ন হয়নি। অনেকের মতে এটা শতভাগ নিশ্চিত করাটা সম্ভবও নয়। তবে, যতটা সম্ভব ততটাও করছেন না মালিকপক্ষ। যদিও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা কেবল মৌখিক ভাবে অবগত এবং লিখিত চিঠি বা নোটিশ দিয়েই দায় সারছেন। আইনগত ব্যবস্থা কিংবা অভিযান চালাতে দেখা যাচ্ছে না সংস্থাটিকে।
এদিকে, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের মতে, বিসিক শিল্পনগরীকে ঢেলে সাজানোর বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে তিনি মালিকপক্ষের সাথে কথাও বলেছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থার স্বার্থেই পরিকল্পিত ভাবে বিসিক শিল্পনগরীকে গুছিয়ে তোলার জন্য অচিরেই ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ফায়ার সেফটি বাস্তবায়ন করতে হলে প্রথমত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সামনে অন্তত ৩০ ফুট প্রশস্ত জায়গা বা রাস্তা তৈরী করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ফতুল্লার বিসিক বা অন্যান্য পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে এমন প্রশস্ত রাস্তার ব্যবস্থা নেই। ঘিঞ্জি এলাকায় পরিণত হওয়া বিসিক ও ফতুল্লায় ৩০ ফুট করে রাস্তা বের করাটা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।